রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন

প্রিন্ট মিডিয়া কীভাবে টিকে থাকবে?

নঈম নিজাম
বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা কঠিন একটা সময় অতিক্রম করছে। এ কঠিন সময়ে দেখতে দেখতে আরও একটি বছর পার হলো বাংলাদেশ প্রতিদিনের। দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকটি ১৪ বছর শেষ করে পদার্পণ করল ১৫ বছরে। প্রিয় পাঠক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা নিন। সংবাদপত্র শিল্পের কঠিনতম সময়ে এভাবে একটি কাগজের বিশালত্ব তৈরি সম্ভব হয়েছে শুধু আপনাদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণে। নতুন বছরে প্রত্যাশা করছি আমাদের প্রতি আপনাদের এ সমর্থন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহজ। ধরে রাখা অনেক কঠিন। একই অবস্থানে টিকে থাকা অনেকটাই অসম্ভব। বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০১০ সালের ১৫ মার্চ যাত্রা শুরু করেছিল। একটা স্বাপ্নিক অধ্যায় নিয়ে শুরু করেছিলাম। সেই অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছি। শুরু থেকেই আমাদের অঙ্গীকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রতি। সেই অবস্থান থেকে এক মুহূর্তের জন্যও সরে যাইনি। লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকে সপ্তাহে এক দিন প্রিন্ট ভার্সন আমরা প্রকাশ করছি। প্রিন্টের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সারা দুনিয়াতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। নিউইয়র্ক থেকে রয়েছে আলাদা অনলাইন পোর্টাল। পাঠকদের মাঝে সেই অনলাইনও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশ্ব মিডিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান্তরালভাবে যুক্ত হয়েছি ডিজিটালে। তৈরি করছি ডিজিটাল কনটেন্ট। বিশ্বাস করি অচিরেই এখানেও সাফল্য আসবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের।

কোনো সাফল্যই এক দিনে আসে না। আবার তৈরি হওয়া সাফল্য ধরে রাখাও কঠিন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে প্রচার সংখ্যার শীর্ষ দৈনিক ঘোষণা করছে বারবার। আমরা চেষ্টা করছি সেই অবস্থান ধরে রাখতে। পাঠকের চাহিদাকে সামনে রেখে পত্রিকা করতে। প্রতি বছর সারা দেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয় ১৫ মার্চ। এবার পবিত্র রমজান মাসের কথা বিবেচনায় রেখে অনুষ্ঠান করতে হয়েছে ১০ মার্চ। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-এর নবরাত্রি হলে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শুভেচ্ছা জানাতে। জেলা শহরগুলোতে আমাদের প্রতিনিধিরা আলাদা অনুষ্ঠান করেছেন। সবখানেই যোগ দিয়েছিলেন পাঠক শুভানুধ্যায়ীরা। পাশে ছিলেন সংবাদপত্রসেবীরা। সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করছি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহানসহ পরিচালকমন্ডলীর প্রতি। বসুন্ধরা গ্রুপের শক্ত বিনিয়োগ আজকের অবস্থান ধরে রাখতে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আহমেদ আকবর সোবহানের বিশাল অবদান রয়েছে। দেশের শিল্পবাণিজ্যের বিকাশে তিনি বড় পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় রয়েছেন। অন্যরা যা ভাবতে পারে না বসুন্ধরা তা এগিয়ে নেয়। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে বসুন্ধরার বিশাল বিনিয়োগ একটা ইতিবাচক ধারা তৈরি করেছে। আগামীতে এ দেশকে এগিয়ে নিতে মিডিয়ায় বসুন্ধরার এ বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।

সংবাদপত্র শিল্প এখন অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। হকাররা পেশা ছেড়ে দিচ্ছে। অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে। পাঠক প্রিন্ট ভার্সন পড়া কমিয়ে দিচ্ছে। সব পত্রিকার প্রচার সংখ্যা কমেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন একই অবস্থানে টিকে থাকার জন্য পাঠকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবার ভালোবাসা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন এখনো প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে। পাঠকদের ভালোবাসা ছাড়া এ বিশালত্ব ধরে রাখা অসম্ভব ছিল। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সব হকার-এজেন্টসহ সংবাদপত্র বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি। কৃতজ্ঞতা আমাদের সব বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে। এ পথচলার সঙ্গী হয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন কাজ করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুন্দর বাংলাদেশের বদলে যাওয়া আগামী প্রতিষ্ঠায়।

জানি টিকে থাকা অনেক চ্যালেঞ্জের। নিউজপ্রিন্টের দাম বাড়ছে। সামাজিক মাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। মিডিয়াতে খরচের খাতা দীর্ঘ হচ্ছে। চারপাশের নানামুখী জটিলতায় সংবাদপত্র টিকতে পারছে না। লড়তে পারছে না আগের মতো। খবর প্রকাশেও রয়েছে নানামুখী প্রতিকূলতা। কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লুকিয়ে আছে স্বাধীন মুক্ত মত প্রকাশ ও সুস্থধারার সাংবাদিকতার। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালীভাবে টিকে থাকা ও এগিয়ে চলার সঙ্গেই সম্পৃক্ত মূলধারার মিডিয়া। রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বিক পথচলার বাইরের কিছু নয় সংবাদপত্র। সেলফ সেন্সরশিপ, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আইনকানুন মোকাবিলা করেই পথ চলছেন সারা দুুনিয়ার সাংবাদিকরা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কমে গেছে। ভিতরের খবর কেউ তুলে আনতে চায় না। পাঠক দর্শক ভিতরের খবর শুনতে চায়। মিডিয়া তা পারছে না বলেই তৈরি হচ্ছে আস্থাহীনতার। কমছে পাঠক, দর্শক। দলীয় গন্ডি সীমাবদ্ধতার দেয়াল তৈরি করেছে সাংবাদিকদের মাঝে। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতা কোন প্রিয়জন নয়, এটা হলো একটা বিশ্বাস যা মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে অনুভব করে, এমন স্বাধীন জীবনযাপনের জন্য মানুষ কী মূল্য চোকাবে বা দেবে’’।

মূলধারার মিডিয়ার একটা দায়িত্ববোধ আছে। যা খুশি তা চাইলেই করা যায় না। সামাজিক মাধ্যমের কোনো দায় নেই। চাইলেই যা খুশি করতে পারে। মুহূর্তে ছড়িয়ে দিতে পারে গুজব। মানুষ মন দিয়ে এখন গুজব শুনছে। মিথ্যাচার নোংরামি দেখছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাস পরের কথা। মূলধারার মিডিয়াকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে কঠিন সব বাস্তবতা। বাস্তবের সঙ্গে থাকতে না পারলে কাঠিন্যর কশাঘাতে অনেক ইতিহাস ঐতিহ্যের মতো হারিয়ে যাবে সংবাদপত্র শিল্পও। গুটিয়ে যাবে টিভি মিডিয়া। কভিডকালে সবচেয়ে বেশি প্রিন্ট মিডিয়া বন্ধ হয়েছিল বিভিন্ন দেশে। পরিস্থিতির পরিবর্তন এখনো হয়নি। কেন এমন হচ্ছে সবাইকে ভাবতে হবে। চিন্তা করতে হবে আগামীর মিডিয়া নিয়ে। ভাবতে হবে প্রিন্ট মিডিয়াকে টিকিয়ে রাখা নিয়ে। অসম্ভব কোনো কিছু নয়। ছাপার অক্ষরকে মানুষ এখনো বিশ্বাস করে। সেই বিশ্বাসকে নিয়েই কাজ করতে হবে। টিকে থাকতে হবে।

চ্যালেঞ্জ সব সময় ছিল। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি নবযুগ পত্রিকায় কাজ করেছেন। যুগবাণীতে কবির ২১টি সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়। পরে বই আকারে প্রকাশের পর ব্রিটিশরা বাজেয়াপ্ত করে। ধূমকেতু সপ্তাহে দুই দিন প্রকাশিত হতো। ১১ আগস্ট ১৯২২ সালে ধূমকেতুর সঙ্গে কবি সম্পৃক্ত হন। লেখনী দিয়ে কবি জাগরণ তৈরি করেছিলেন মানুষের ভিতরে। তিনি শুধু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নয়, লিখেছেন ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে, নারীর স্বাধীনতা নিয়ে। ধর্মের বৈষম্য হানাহানির বিরুদ্ধে কবির কলম চলত শক্ত হাতে। লেখালেখির কারণে নজরুলকে জেলে যেতে হয়েছিল। তারপরও হার মানেননি উপমহাদেশের প্রথম সংবাদপত্রের প্রকাশক হিকির মতো। বড় আজব লোক ছিলেন হিকি। পুরো নাম জেমস অগাস্টাস হিকি। তিনি ছিলেন আইরিশ। উপমহাদেশে প্রথম মুদ্রিত পত্রিকা বেঙ্গল গেজেট তিনি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন। তার পত্রিকাটি হিকির বেঙ্গল গেজেট নামে খ্যাত ছিল। যাত্রা শুরু ১৭৮০ সালের ২৩ জানুয়ারি। ১৭৮২ সালের ২৩ মার্চ পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। দুই পৃষ্ঠার পত্রিকাটি দিয়ে সংবাদপত্র যুগ আমাদের ভূখন্ডে শুরু। ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ সেনাদের কাছে পত্রিকাটি জনপ্রিয় ছিল। আবার ইংরেজদের বিরুদ্ধে ছাপার অক্ষরের লেখা ভারতীয়দের মধ্যেও ইতিবাচক স্থান তৈরি করে নিয়েছিল। ভারতীয়রা খুশি ছিল পত্রিকাটি নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে লিখত। মাফ করত না গভর্নরকেও। তখনকার ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তার স্ত্রী লেডি হেস্টিংসের জীবনযাপন নিয়ে আড়ালে অনেক সমালোচনা হতো। হিকি লেডি হেস্টিংসকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশ করতেন। প্রকাশ করতেন ইংরেজ শাসকদের অপকর্ম নিয়ে পাঠকের চিঠি। সেই চিঠি প্রকাশের পর হইচই হতো। স্বজাতি একজনের এত বাড়াবাড়ি সহ্য করবেন কেন ইংরেজ শাসকরা? ব্যবস্থা নিলেন হিকির বিরুদ্ধে। তার পত্রিকা দুই বছরের মধ্যে বন্ধ হলো। জেলে গেলেন হিকি। পত্রিকা করে দুবার জেলে যেতে হয়েছিল তাকে। নিতে হয়েছিল দেনার দায়ও। তখনকার দিনে জেলে থাকলে নিজের খরচ চালাতে হতো। সেই খরচ চালাতে গিয়ে হিকি হিমশিম ছিলেন। করেছিলেন কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা।

বাংলা ভাষার প্রথমদিকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর ইতিহাস আরও জটিল ছিল। ১৮১৮ সালে মাসিক পত্রিকা ‘দিকদর্শন’ যাত্রা শুরু করে। সম্পাদক ছিলেন ক্লাক ম্যাশম্যান। ২৬ সংখ্যা প্রকাশের পর বন্ধ হয়ে যায়। একই সময়ে তিনি প্রকাশ করেন ‘সমাচার দর্পণ’। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত ‘সমাচার দর্পণ’ ছিল সাপ্তাহিক। ১৮৩১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রকাশ করেন ‘সংবাদ প্রভাকর’। ১৮৩৯ সালে দৈনিক হয়ে ওঠে। ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা বের করেন হরিনাথ মজুমদার। সাধারণ মানুষের কথা বলতেন বলে পরে তিনি কাঙাল হরিনাথ নামে খ্যাতি অর্জন করেন। নীলকর ইংরেজদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কলম ধরতেন। অত্যাচারী দেশীয় জমিদারদেরও তিনি ছাড় দিতেন না। তিনি গান লিখতেন। ফকির লালনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক ছিল। এই পত্রিকাটিও বন্ধ হয় আর্থিক সংকটের কারণে। বাংলা ভাষার পুরনো পত্রিকাগুলোর অন্যতম আনন্দবাজার পত্রিকা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশিত পত্রিকাটি দাপট নিয়েই টিকে আছে। বাংলাদেশে ইত্তেফাক ও সংবাদ এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সবাই এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে না। ইত্তেফাক, সংবাদ পেরেছে। আজাদসহ অনেক পত্রিকাই এখন বিলুপ্ত। যারা টিকে আছেন চেষ্টা করছেন টিকে থাকার।

চিন্তার লড়াই নিয়েই টিকে থাকতে হয়। অষ্টাদশ শতকের ফরাসি শক্তিশালী সাহিত্যিক, দার্শনিক ছিলেন ভলতেয়ার। তিনি আজীবন লড়েছেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য। সেই সময়ে গির্জার মতো শক্তিশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনেক আদেশ-নির্দেশ আসত। ভলতেয়ার সেসব অন্যায় আদেশের বিরুদ্ধে লড়তেন। যারা মুক্ত মতের পক্ষে ছিলেন তিনি তাদের সমর্থন দিতেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তোমার মতের সঙ্গে একমত না-ও হতে পারি; কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি আমার জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে যাবো।’’ এ যুগে এই সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দেশে দেশে আন্দোলন হয়। এখনো সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারার মূল ভিত্তি তৈরিতে গণমাধ্যমকে লড়তে হয়। পশ্চিমা মিডিয়া লড়াইয়ের বাইরে নয়। মত পথ সবারই আলাদা। তারপরও ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশের গণমাধ্যমকে অনেক জটিলতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত দুনিয়া সত্য শুনতে নারাজ। সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যাচারের একটা যুগ চলছে।

যার যা খুশি করছে। মানুষ হাতে থাকা মোবাইল ফোনে সারা দুনিয়া দেখতে পাচ্ছে। তারপরও মানুষ লড়ছে সত্য জানতে ও জানাতে। সেই সত্যের পথ ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ প্রতিদিন। থাকবে সময়ের সঙ্গে। বলবে গণমানুষের কথা। এ অবস্থান বজায় থাকবে। টানা ১৪ বছর শক্ত অবস্থান নিয়েই সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলেছি। যা কিছু ঘটনা তুলে ধরেছি। দুনিয়ার কোনো সংবাদপত্র কাউকে খুশি করতে পারে না। আমরাও পারিনি। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেছি। হয়তো আরও কঠিন সময় পার করতে হবে। তারপরও বাংলাদেশ প্রতিদিন তার অবস্থান থেকে সরবে না। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের স্বাধীনতার জন্য কাজ করব। মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িতা, সমৃদ্ধি, মুক্ত চিন্তা, মুক্ত বুদ্ধির বিকাশে লড়াই অব্যাহত রাখব। কোনো হুমকি থামাতে পারবে না।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Titans It Solution